15 তখন সেই লোকেরা যারা একসঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেছিল তাঁরা রাজার কাছে গিয়ে বললেন, “মহারাজ, আপনি জানেন যে, এটা মাদীয় ও পারসীকদের আইনে আছে যে, রাজা যে আদেশ জারি করেন তা কোনভাবেই পরিবর্তন করা যায় না।”
15 তখন ঐ লোকেরা বাদশাহ্র কাছে সমাগত হয়ে বাদশাহ্কে বললেন, বাদশাহ্, জানবেন, যে কোন প্রতিষেধ কি বিধি বাদশাহ্ স্থির করেছেন, তা অন্যথা হতে পারে না, মাদীয় ও পারসীকদের এ-ই ব্যবস্থা।
15 তখন সেই লোকেরা আবার মিলিতভাবে রাজা দারিয়াবসের কাছে গেলেন ও তাকে বললেন, “মহারাজ, মনে রাখবেন, যে মাদীয় ও পারসিকদের রীতি অনুসারে রাজার আদেশনামা কখনও পরিবর্তন হয় না।”
15 তারপর সেই লোকেরা আবার একযোগে রাজার কাছে এসে বললেন, আপনি অবশ্যই জানেন মহারাজ, যে মাদীয় ও পারসিকদের আইন অনুসারে রাজা একবার যে হুকুম জারী করেন তার অন্যথা হবার নয়।
15 তখন ঐ লোকেরা রাজার নিকটে সমাগত হইয়া রাজাকে কহিলেন, মহারাজ, জানিবেন, যে কোন প্রতিষেধ কি বিধি রাজা স্থির করিয়াছেন, তাহা অন্যথা হইতে পারে না, মাদীয়দের ও পারসীকদের এই ব্যবস্থা।
15 তখন ওই লোকরা রাজার কাছে একত্রে গিয়ে বলল, “মহারাজ মনে রাখবেন মাদীয় ও পারসীকদের নিয়মানুসারে কোন আইন বা আদেশে যদি রাজা স্বাক্ষর করেন তবে তা বাতিল বা পরিবর্তন করা যায় না।”
তখন তাঁরা রাজার কাছে উপস্থিত হল এবং তাঁর দেওয়া আদেশের বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলল, “মহারাজ, আপনি কি এমন আদেশ দেন নি যে, ত্রিশ দিনের মধ্যে যদি কেউ মহারাজ, আপনাকে ছাড়া আর অন্য কোন দেবতা বা মানুষের কাছে প্রার্থনা করে তবে তাকে সিংহের গুহায় ফেলে দেওয়া হবে?” রাজা উত্তর দিলেন, “মাদীয় ও পারসীকদের আইনের মতই, এই আদেশও স্থির করা হয়েছে এবং তা আর পরিবর্তন করা যাবে না।”
কিন্তু রাজার নাম করে লেখা এবং রাজার আংটি দিয়ে সীলমোহর করা কোনো আদেশ বাতিল করা যায় না। কাজেই এখন যেভাবে তোমাদের ভাল মনে হয় সেই ইহুদীদের পক্ষে রাজার নাম করে আর একটা আদেশ লিখে রাজার স্বাক্ষরের আংটি দিয়ে সীলমোহর কর।”